“কেউ না”
সঞ্জয় সমদ্দার:
চলে যাচ্ছি..
নতুন বাসায় না, একেবারেই ; এই শহর ছেড়ে!
কেউ বলতেছে না, আবার আসবেন!
যতগুলো বাসায় ভাড়া থেকেছি
প্রত্যেকটা বাসাকে নিজের ঠিকানা মনে করে
সংসার পেতেছি! সুখ দুঃখের গল্প ফেঁদেছি!
প্রত্যেকটা ভাড়ার বাসায় নিজেদের প্রিয় ছবি টাঙিয়েছি,
নিজেদের সুখ দুঃখ রাঙিয়েছি।
আবার ভাড়া বাড়ায় অথবা মালিকের তাড়ায়
সব গুছিয়ে উঠেছি নতুন বাসায় , আবার নতুন অস্থায়ী ঠিকানায়!
চলেই তো যাচ্ছি! বলেই ফেলি!
নতজানু হয়ে বাড়িওয়ালার ইন্টারভিউ পাশ করেছি!
মেরুদন্ড তার কাছে জমা দিয়ে সব শর্তে শুধু হ্যাঁ বলে দিয়েছি,
লেটারসহ পাস মার্ক!
ইশ্ এভাবে যদি অভাবের পরীক্ষায় পাস করা যেতো!
‘আমার বাসায়’ আসবেন বলে কতোজনকে দাওয়াত দিয়েছি!
‘নিজের শহর’ ভেবে বিষাক্ত সিসা হৃদপিন্ডে নিয়েছি।
অথচ বাসা বা শহর কোনোটাই আমার হয়নি,
শ্বাস কষ্ট মনে করিয়ে দেয় শুধু সিসা আমায় আপন করেছে!
পিকাপে মালামাল তুলতেছি,
নিজেকে ছাড়া সব বাতিল মাল ফেলে যাচ্ছি!
এই শহরে বাতিল মানুষের জায়গা যে নাই!
এই শহরের রোদ, বৃষ্টি, জ্যাম, ঘাম সব মনে পড়তেছে,
কিন্তু শহরটা আমাকে মনে করতেই পারতেছে না!
আমি ছিলাম কচুরিপানা, ধেয়ে আসা ঢেউ না!
ইট কাঠের এই শহরে আমি স্রেফ ‘কেউ না’।